۲ آذر ۱۴۰۳ |۲۰ جمادی‌الاول ۱۴۴۶ | Nov 22, 2024
সৌদি বাদশা ও যুবরাজ
সৌদি বাদশা ও যুবরাজ

হাওজা / ইয়েমেনে পশ্চিমাদের আগ্রাসনের সঙ্গে যদি সৌদি আরবেও যোগ দেয় তবে সৌদি আরবে স্পর্শকাতর স্থানগুলোতে হামলার হুমকি দিয়েছে হুথিরা।

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, সৌদি আরবে হামলার হুমকি দিয়েছে ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিরা। এমনকি গোষ্ঠীটি সৌদি আরবের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার ভিডিও প্রকাশ করেছে।

মঙ্গলবার (০৯ জুলাই) মিডল ইস্ট মনিটরের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গাজায় ইসরায়েলের হামলার পর থেকে ফিলিস্তিনকে সমর্থন দিয়ে আসছে ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিরা। এরপর তারা লোহিত সাগরের একের পর এক জাহাজে হামলা শুরু করে। তবে ইয়েমেনের এ বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে থামাতে পশ্চিমারা দেশটিতে কয়েক মাস ধরে হামলা চালিয়ে আসছে। কিন্তু এরপরও তাদের থামানো যায়নি। এবার তাদের থামাতে সৌদির আরবের ধরনা দিয়েছে বলে দিাবি করেছে হুতিরা।

তারা জানিয়েছে, পশ্চিমাদের কথামতো তাদের সঙ্গে সৌদির আরব যোগ দিলে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা চালাবে তারা। এমনকি হুমকির পর বেশ কয়েকটি স্পর্শকাতর স্থানের ড্রোন ফুটেজ প্রকাশ করেছে তারা।

মিডল ইস্ট মনিটর জানিয়েছে, গত সোমবার হুতিরা একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। ভিডিওর শিরোনামে বলা হয়েছে, জাস্ট ট্রাই ইট। ভিডিও ফুটেজে তারা রিয়াদের কিং খালিদ বিমানবন্দর, জেদ্দার কিং আব্দুল আজিজ বিমানবন্দর, দাম্মামের কিং ফাহাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়াও রাস তনুরা, জিজান ও জেদ্দা বিমানবন্দরকে দেখানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হুতিদের প্রকাশিত এ ভিডিওর ব্যাকগ্রাউন্ডে গোষ্ঠীটির নেতা অব্দুল মালিক আল হুতি বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, মার্কিনিরা আমাদের বার্তা দিয়েছে যে তারা সৌদি সরকারকে আগ্রাসী পদক্ষেপের দিকে ঠেলে দিবে। এজন্য মার্কিনিরা সৌদি অরব সফর করেছেন।

সৌদির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, মার্কিনিরা তোমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। তুমি এটা চাইলে চেষ্টা করে দেখো। আর নিজের ভালো এবং দেশ ও অর্থনীতির স্থিতিশীলতা চাও তাহলে আমাদের দেশের বিরুদ্ধে তোমাদের ষড়যন্ত্র বন্ধ করো।

তিনি আরো বলেন, মার্কিনিরা তোমাদের ফাঁদে ফেলতে পারলে সেটা তোমাদের ভয়ংকর বোকামি এবং বড় ব্যর্থতা। এক্ষেত্রে যেকোনো আক্রমণাত্মক পদক্ষেপের মোকাবেলা করা আমাদের অধিকার।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। দেশটির হামলার পর থেকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাসের প্রতি সমর্থন জানিয়ে আসছে হুতিরা। এর অংশ হিসেবে গত নভেম্বর থেকে লোহিত সাগর, বাব এল মান্দেব এবং এডেন উপসাগরে ইসরায়েল ও পশ্চিমা জাহাজে হামলা চালিয়ে আসছে হুতিরা।

হুতিদের দাবি, গাজায় হামলা বন্ধ ও উপত্যকায় ত্রাণের সরবরাহ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তারা এ হামলা চালিয়ে যাবে। অন্যদিকে হুতিদের হামলার কারণে পণ্যবাহী জাহাজগুলোকে হর্ন অব আফ্রিকা হয়ে সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার পথ অতিরিক্ত পথ পাড়ি দিয়ে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। ফলে একদিকে যেমন পরিবহণ ব্যয় বেড়েছে অন্যদিকে সময়ও লাগছে অনেক বেশি।

অন্যদিকে হুতিদের থামাতে লোহিত সাগরে একটি জোট গঠন করেছে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ ইসরায়েলি মিত্র দেশগুলো। এ জোট দেশটির বিভিন্ন স্থাপনায় হামলাও চালিয়েছে। তবে এতোসবের পরও গোষ্ঠীটিকে দমাতে পারেনি তারা।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .